না ফেরার দেশে চলে গেলেন আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেত্রী মতিয়া চৌধুরী
আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সাবেক মন্ত্রী ও মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দারও তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
এ রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন, পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী।
১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। ষাটের দশকে জেল জীবন নিয়ে লিখেছেন বই; এর নাম ‘দেয়াল দিয়ে ঘেরা’।
মতিয়া চৌধুরী ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মতিয়া চৌধুরী।
এমন একসময় তার প্রস্থান হলো, যখন তার দল আওয়ামী লীগ বড্ড বিপদে। দুই মাস আগেই ক্ষমতাচ্যুত হলো তার দল। দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। অনেকে বিদেশে পালানোর পাশাপাশি আত্মগোপনে। এমনই এক অবস্থায় মতিয়া চৌধুরী চলে গেলেন, যখন কি না রাজপথে তার ও দলের সাড়াশব্দ নেই। নিশ্চয় তিনি ভাবেননি, রাজনীতিক মতিয়ার মন খারাপের দিনে তার জীবনের ইতি হবে।
সম্পাদক : বাসন্তী বিশ্বাস সুইটি