র্কিন নির্বাচন: পেনসিলভানিয়া ও মিশিগান কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মোট সাতটি অঙ্গরাজ্যকে ‘সুইং স্টেটস’ বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে পেনসিলভানিয়া ও মিশিগান এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই দুই অঙ্গরাজ্যের ফলাফল প্রভাবিত করতে পারে এবারের নির্বাচন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না। নির্বাচিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে।
‘সুইং স্টেটস’কে বাংলায় দোদুল্যমান রাজ্যসমূহ বলা হয় এবং এই রাজ্যগুলো পুরো নির্বাচনের ফলাফল বদলে বা উল্টে দিতে পারে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে সুইং স্টেটসের এমন ভূমিকা দেখা গেছে। এ কারণেই সুইং স্টেটগুলোকে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ নামেও ডাকা হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না। নির্বাচিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২ নম্বর অনুচ্ছেদে এই পদ্ধতিটি সম্পর্কে বর্ণনা করা আছে। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকটি করে ইলেক্টোরাল ভোট থাকে, যা ওই অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার মোটামুটিভাবে সমানুপাতিক হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে বেশ কিছু নির্বাচক রয়েছে যা কংগ্রেসে থাকা মোট প্রতিনিধি এবং সিনেটরের সমান।
ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। আর সেই প্রার্থীর রানিং মেট হয়ে যাবেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট।
চলতি বছরের নির্বাচনে মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, উইসকনসিন, নেভাদা এবং উত্তর ক্যারোলিনা– অঙ্গরাজ্যগুলোকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদিও ধারণা করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানের ভোট। যার ফলে শেষ মুহূর্তে এসেও এ দুই অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে দেখা গিয়েছে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
পেনসিলভানিয়ায় ১৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে এ অঙ্গরাজ্যে জয় লাভ করেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯৮৮ সালের পর সেবার প্রথম পেনসিলভানিয়ায় কোনো রিপাবলিকান প্রার্থী জয় পবেন
অন্যদিকে, মিশিগানে আছে ১৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। এ অঙ্গরাজ্যেও ২০১৬ সালে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে জয় লাভ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা ১৯৯২ সালের পর প্রথম মিশাগানে কোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর জয় ছিল।
সূত্র: আলজাজিরা