কক্সবাজার ডায়াবেটিক্স পয়েন্টে শুরু হলো সনাতন ধর্মীয় উৎসব বারণী স্নান এবং গঙ্গাস্নানও বলা হয়।
কক্সবাজার প্রতিনিধি :বাসন্তী দাস সুইটি
কক্সবাজারে ডায়াবেটিস পয়েন্ট শুরু হলো সনাতন ধর্মীয় উৎসব বারণী স্নান বা গঙ্গাস্নান বলা হয়,
২৭ মার্চে ২৫ ইংরেজি ত্রয়োদশী তিথিতে এই উৎসব হয়
এই ধর্মীয় উৎসবে সনাতন ধর্মীরা বিশ্বাস করেন ত্রয়োশী তিথিতে তাদের পূর্বপুরুষদের জল নিবেদন করতে হয় তাদের বিশ্বাস স্বর্গ থেকে পূর্বপুরুষরা এই তিথিতে মন্ত্র ধারায় জলগ্রহণ করন।
স্কন্দ পুরাণে লেখা আছে যে চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত। হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ। শাস্ত্র মতে কোন বছর যদি ঐদিনটি শনিবার হয় তবে ঐ বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে মহা বারুণী স্নান রুপ লাভ করে।
( সনাতন ধর্মের মতে বারোনী স্নান বা গঙ্গা স্নান কী)
গঙ্গা হল সনাতন ধর্মের পুণ্যদায়িনী বলা হয় । সনাতন ধর্মীয় সকলেই বিশ্বাস করেন। তাই তারা সকলেই গঙ্গা স্নান করে থাকেন পুণ্য লাভের আশায়। আবার বাঙালির সমস্ত পূজোতে গঙ্গা জল, গঙ্গা মাটি অবশ্য প্রয়োজনীয়তা হয় বলে জানান । আর কিছু বিশেষ বিশেষ তিথিতে যদি গঙ্গা স্নান করা যায় তাহলে অনেক পুণ্য সঞ্চয় করা যায় বলে বিশ্বাস করেন তারা, সনাতন ধর্ম মতে গঙ্গা স্নানের কি কি পুণ্যফল লাভ হয় তার উদাহরণ। এবার আপনাদের বলব অন্যান্য মাহাত্ম্যের কথা। যেমন গঙ্গা মন্ত্র উচ্চারন করে স্নান করলে সমস্ত রকম পাপ থেকে মুক্তি লাভ হয়। আর পাপীরা “গঙ্গা গঙ্গা” উচ্চারন করে স্নান করলে তাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে ফেলতে পারে। তার স্থান হয় বৈকুন্ঠে।
গঙ্গাতীরে ন্যায় বা অন্যায় প্রাণত্যাগকারী ব্যাক্তি তার স্বর্গলোক প্রাপ্ত হয়। আমাদের প্রাচীন পুরাণে গঙ্গাস্নানের মাহাত্ম্যের কথা অনেক লেখা আছে। এমনকি গঙ্গার মাহাত্ম্যর কথা ভগবান শিব বলেছিলেন পার্বতীকে। আসুন তাহলে জেনে নিন কোন তিথিতে গঙ্গা স্নান করলে আপনার পুণ্য সঞ্চয় হবে এবং সেই বিশেষ তিথিতে গঙ্গাস্নানের মাহাত্ম্য।
বারুণী স্নান :- স্কন্দ পুরাণে লেখা আছে যে চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত। এই তিথিতে স্নান করলে বহুশত সূর্যগ্রহনের জন্য গঙ্গাস্নানের যে ফল সেই ফল লাভ করা যায়। হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ।বাঙলা সনের প্রতি চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্র মতে কোন বছর যদি ঐদিনটি শনিবার হয় তবে ঐ বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে মহা বারুণী স্নান রুপ লাভ করে।এই স্নান টি বস্তুত্ব হিন্দু ধর্মীয় একটি পূন্য স্নান উৎসব।জীব জগতের পঙ্কের মধ্যে পথ চলতে গিয়ে পাপাচারে পূর্ণ্,ক্লেদাক্ত মুনস্যকুল এই পূণ্য স্নানের মধ্যমে পাপ মুক্ত হয়। দক্ষিণ জনপদের এই কপিলমুনিতে ঠিক কবে থেকে বারুণী মেলার আয়োজন হয়ে আসছে তা হিসেব করা খুব কঠিন বলে জানান সনাতন ধর্মলম্বিরা।
জনস্রুতি এমন পুন্যত্মা কপিল কালের কোন এক সময় সাধনায় সিদ্ধিলাভের জন্য কপোতাক্ষের পাড়ে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির স্থাপন করেন এবং তিনি সেখানে ধ্যান মগ্ন অবস্থায় আদ্যা শক্তির সাক্ষৎ পান। গভির ধ্যানের দ্বারা তিনি সেখানে গঙ্গাকে কপতাক্ষের সঙ্গমে একত্রিত করেন।সময়টি ছিল চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী।আর এখানেই স্থাপন করেছিলেন বারুণী স্নানঘাট।