[caption id="attachment_1851" align="alignnone" width="299"] জেলেদের জীবন বৈচিত্র্যময়[/caption]
অসহায় জীবন পার করতেছে সাঙ্গু নদীর তীরের জলদাস সম্প্রদায়
সাতকানিয়া রিপোর্টার :শুভদেব দাস
শুদ্র.বৈশ্যা. ক্ষত্রিয়. ব্রাম্মন এই ৪বর্ণ মিলেই সনাতনী সম্প্রদায়, কামার. কুমার.শীল. দোপা. জলদাস বা ব্যবসায়ীদের বলা হয় বৈশ্যা বর্ণ,বৈশ্যা বর্ণের অন্যতম হচ্ছেন জলদাস সম্প্রদায় কেউ কেউ বলেন আবার মৎস্য সম্প্রদায় বা মৎস্যজীবী, তাদের জীবন চলা মৎস্য চাষ বা সাগর এবং নদীতে মাছ ধরা।
জলদাস বা মৎস্যজীবী জনজীবন সবচেয়ে দুঃখে কষ্টে দুর্ভিক্ষে খেয়ে না খেয়ে জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন, জলদাস সম্প্রদায় নদী বা সাগরের সাথে যুদ্ধ করে জীবন চালাতে হয়, তাদের বেশিভাগ বাড়ি হয় নদীর বা সাগরে পাশে,জলদাস যখন সাগরে মাছ ধরতে যায় মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে বা নৌকা ডুবিতে অনেক জেলে সাগর বা নদীর স্রোতে মৃত্যু বরণ করে কখনো কখনো তাদের লাশসহ খুঁজে পাওয়া যায় না, তাদের স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়ে অনেক আশা নিয়ে বসে থাকেন কখন তারা কখনো কখন স্বজনেরা বলেন জীবিত না হয় মৃত্যু হওয়ার দেহটা বাড়িতে আসবে সেই আশায় আছি কিন্ত সেই দেহটাও অনেক সময় পাওয়া যায় না, সরকারও তাদের সাহায্য করে না বা মালিকপক্ষ থেকে জেলে শ্রমিকের বাড়িতে অর্থনৈতিক বা কিছুই সাহায্য করে না।
জেলে সম্প্রদায় মাছ ধরতে পারলে কোনো রখম তাদের পরিবার সুন্দর ভাবে চলতে পারে কিন্ত মাছ ধরতে না পারলে নেমে আশে তাদের জীবনে অন্ধকারে নেমে আসে না খেয়ে দিন চালাতে হয়, অর্থের অভাবে তাদের ছেলে মেয়েরাও ভালো স্কুলে পড়তে পারে না
কোনো রখম প্রাইমারী গণ্ডি ফেরলে ছেলেদের মৎস কাজে চলে যেতে হয় এবং মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিতে হয়।
অর্থের অভাবে জেলেপ্ললিরা ভালো জায়গায় ঘরবাড়ি বা জমি নিতে পারে না সাগর বা নদীতে পানি বেড়ে গেলে তাদের ঘরবাড়ি স্রোতে ভেসে যায়, ভেসে গেলে নদীর পানি কমে গেলে কোনো রখম পলিথিন দিয়ে তাবু টেনে কোনো রখম জীবন চালাতে হয়,অবশ্যই কালের পরিবর্তনের কারণে সনাতনী জেলে সম্প্রদায় বিলুপ্তের পথে সনাতনী জেলে নাই বল্লেও চলে,(১০০%জেলেদের মাঝে ৩০%)হিন্দু ৭০% মুসলিম ভাই সমুদ্র মাছ ধরতে যায়।
বাংলাদেশ সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলেদের জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন সকল মৎস্য বা জেলেদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় নিয়ে আসেন সাহায্য করার জন্য,কিন্ত সেই সাহায্যের ছিটেফোঁটাও পায় না বাজালিয়ার সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থানরত জলদাস পাড়ায়,মৎস্য কার্ড আছে কিন্ত তাদের বরাদ্দ হওয়া অনুদান আসেনা,সাঙ্গু নদীর তীরে থাকা জেলেরা বলেন (বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের দিকে সুনির্দিষ্ট ভাবে একটু থাকান একটু সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিন
সম্পাদক : বাসন্তী বিশ্বাস সুইটি